বৃহস্পতিবার, ১১ আগস্ট, ২০১১

প্রধানমন্ত্রীকে ফ্রুটিকা খাওয়াবে কে ?

অনেকদিন আগে বাস করতো এক দুরুন্ত বিড়াল। তার জ্বালায় ঈঁদুররা কেহ শান্তিতে বসবাস করতে পারতো না। তার অত্যাচারের মাত্রা সীমা ছাড়িয়ে যায়। ঈদুরগুলি সবসময় একটা আতংকের মাঝে বসবাস করতে হতো।
তেমনি ভাবে মানচিত্রের মাঝে একটা ছোট দেশ ‘বাংলাদেশ’। এখানেও সরকার দলীয় সন্ত্রাসীদের জন্য কেহ সুখে শান্তিতে বসবাস করতে পারে না। বিরোধী দলের উপর সব সময় হামলা-মামলা লেগেই আছে। করছে গরীব অসহায়দের হয়রানী। মা-বোনেরাও তাদের অত্যাচার থেকে রেহাই পাচ্ছেনা। প্রতিদিনই কোন না কোন বোনের ইজ্জত লুন্ঠিত হচ্ছে ধর্ষনে সেঞ্চুরিয়ানদের হাতে।
বিড়ালের অত্যাচারে যখন সকলে অতিষ্ঠ তখন সকল ঈদুর মিলে এক জরুরী সভার আয়োজন করে। এখানে বিড়ালের অত্যাচারের কথা উপস্থাপন করা হয়। কে তার হাতে কি অত্যাচারের শিকার হয়েছে তা সবিস্তারে বর্ণনা করেন। কে কখন কি করে তার মুখে পড়েছেন..... কি করে প্রাণ নিয়ে পালিয়েছেন কিংবা কোনমতে বেঁচে গেছেন তার কিছুই বাদ যায়নি। সমস্যা গুলি জানি কিন্তু তা থেকে বাচাঁর উপায় কি তা আমাদের বের করতে হবে- বলল একটি প্রভাবশালী ইদুর।
এদেশেও যখন অত্যাচারের সীমা অতিক্রম করছে..... আর সহ্য করা যাচ্ছেনা তখন সমাজের সকলে গোপনে এক জরুলী সভায় মিলিত হয়। এখানেও তাদের অত্যাচারের লোমহর্ষক ঘটনা গুলি ফোটে উঠে। কিন্তু এ থেকে আমাদের বাঁচার জন্য ভাবতে হবে এখনই। কি করে তার অত্যাচার থেকে মুক্তি পাওয়া যায় তা নিয়ে নানা জনে নানা কথা বলে কিন্তু কারো কথাই মন মতো হয়না বিধায় কোন সিদ্ধান্তেও তারা আসতে পারেনি।
অনেক জনের অনেক প্রস্তাবের পরও যখন মন মতো হলোনা তখন একজন প্রস্তাব করলো- ‘বিড়ালের গলায় ঘন্টা বাঁধলে কেমন হয়, সে যখন হাটবে কিংবা আমাদের দিকে আসবে তখন আমরা সতর্ক হতে পারবো’। তার বক্তব্য শুনে একটি বৃদ্ধ ইঁদুর বললো- ‘সবই বুঝলাম, কিন্তু ঘন্টাটা বাঁধবে কে’ বলে সে উঠে চলে গেল।
তেমনি ভাবে একজন প্রস্তাব করলো- ‘আমি একটি বিজ্ঞাপনে দেখেছি, শুধু আমি নই, অনেকেই দেখেছে যে একজন নেতা যখন কোন প্রতিবাদ সভায় ভাষন দিচ্ছিল তখন তাকে একজন ফ্রুটিকা খাওয়ালে সে অনবরত সত্য বলে দেয়...... আমি ধারনামতে আমাদের মহামান্য নেতাদের যদি ফ্রুটিকা খাওয়াই দিতে পারি তবে তারা কি করবে তা সত্য বাহির হয়ে পড়বে। ফলে আমরা সতর্ক হয়ে যেতে পারবো’। লোকটির কথা সবার মন মতো হয়। কিন্তু একজন বৃদ্ধলোক এর বিরোধিতা করে। বৃদ্ধ লোকটি বলে ‘এটা কি করে সম্ভব যে ফ্রুটিকা খাওয়ালে সে সত্য গুলি বলে দেবে। আচ্ছা মানলাম না হয় তাদের ফ্রুটিকা খাওয়াবো। কিন্তু আমাদের প্রধানমন্ত্রী, রাষ্ট্রপ্রতিকে, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সহ সকল ক্ষমতাশীন এমপি-মন্ত্রীদের ফ্রুটিকা খাওয়াবে কে’? বলে বৃদ্ধটি উঠে চলে গেল...

1 মন্তব্য:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Share

Twitter Delicious Facebook Digg Stumbleupon Favorites