সোমবার, ৮ মে, ২০২৩

আড়ি-ভাব

আড়ি দেওয়ায় লাঠি দিয়ে
মারলো মাথায় বারি,
জিজ্ঞেস করে আর যাবি বল
আমায় দূরে ছাড়ি?
বললাম আমি ভয় পেয়ে
যাবো না আর ছেড়ে,
যদি যাই নিয়ে নিস
প্রাণটা আমার কেড়ে।

দিচ্ছি কথা ভাঙছি আড়ি
যাবো নাকো দূরে,
হাসবো, খেলবো ছড়া কাটবো
রাখাল বাঁশির সুরে। 



আড়ি

ইচ্ছে করে সামনে আজি
ঝুলিয়ে দিলাম আড়ি
সাত সমুদ্রুর তোমায় নিয়ে
দিবো না আর পাড়ি
যাও, চলে যাও, দূরে যাও
সরো- আমায় ছাড়ি
দূর সীমানা পাড়ি দাও তুমি
চড়ে হাওয়ার গাড়ি।


বৃহস্পতিবার, ৪ অক্টোবর, ২০১৮

শিশু অধিকার

অক্টোবর এলেই খুব জোরেশোরে উচ্ছারিত হয় "বিশ্ব শিশু অধিকার দিবস " প্রসংগটি । দিনটি গিরে চলে কতশত সভা সেমিনার ও সিম্পোজিয়াম । আজকাল তো আলোচনার ঢল উঠে গেছে গোল টেবিল পর্যন্ত , কিন্তু ঐ পর্যন্তই ! শিশুদের নিয়ে এই দিনে যতকথা বলা হয় , যত স্বপ্ন দেখানো হয় , দুঃখের বিষয় যে, দিনটি পার হয়ে গেলে সে সবের কোন কিছুই আর বাস্তবায়ন হয় না । এটা কাম্য নয় , আমরা আশা করি শিশু অধিকার নিয়ে আরো বেশি সচেতনতার । কেননা শিশুরাই জাতির উজ্জল ভবিষ্যৎ , তারাই আমাদের স্বপ্ন বীজ । সুতরাং তাদের জন্য একটি সুন্দর যোগ্য পরিবেশ উপহার দেয়ার দায়িত্ব আমাদেরই । এই দায়িত্ব ে কর্তব্যের কথা আমরা যেন ভুলে না যাই ।

 ১৮ অক্টোবর ২০১০ এ লেখা ব্লগ।

 

প্রেম বন্ধুত্বে প্রভাব ফেলে

প্রেমে পড়লে অন্যদের জন্য সময় কমে যায়, এটাই স্বাভাবিক; কিন্তু তাই বলে দুটি বন্ধু ঝরে যাবে? শুনতে বেখাপ্পা লাগলেও একটি গবেষণার ফলাফল কিন্তু এ সিদ্ধান্তেই পৌঁছাচ্ছে। অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির গবেষকরা এ তথ্য জানিয়েছেন। নতুন প্রেম বর্তমান বন্ধুত্বের সম্পর্কগুলোর ওপর কেমন প্রভাব ফেলে, সেটিই ছিল এ গবেষণার দেখার বিষয়। এতে দেখা গেছে, যাদের পাঁচজন ঘনিষ্ঠ বন্ধু রয়েছে, ভালোবাসার মানুষ জীবনে আসার পর তারা দুই বন্ধুকে হারিয়েছেন। অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির এভোলিউশনারি অ্যানথ্রোপলজির প্রফেসর রবিন ডানবার বিষয়টি ব্যাখ্যা করেছেন এভাবে—যারা প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়েছে, তারা গড়ে পাঁচ বন্ধুর একটি পেন্টাগনের চেয়ে ভালোবাসার মানুষসহ চার জনের একটি চতুর্ভুজকেই পছন্দ করে।
রফেসর ডানবার সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটের বন্ধুদের নিয়েও স্টাডি করেছেন। তিনি জানাচ্ছেন, একজন মানুষের দেড়শ’ জনের মতো বন্ধু থাকা সম্ভব। একটি সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং ওয়েবসাইট, যেমন ফেসবুকে একজন নিয়মিত ব্যবহারকারীর গড়ে ১২০-১৩০ জন বন্ধু থাকে। এদের আবার ছোট ছোট গ্রুপে ভাগ করা সম্ভব। ভাগ করতে করতে ঘনিষ্ঠ বন্ধু পাওয়া যায় চার থেকে ছয় জন। এরা তেমন বন্ধু, যাদের সঙ্গে সপ্তাহে অন্তত একবার দেখা হয়, কিংবা বিপদে-আপদে এরাই পাশে এসে দাঁড়ায়। এরপরেই আসে সহানুভূতি গ্রুপ, যাদের সঙ্গে মাসে একবার দেখা হয়। এদের সহানুভূতি গ্রুপ বলার কারণ হচ্ছে সে মারা গেলে এরা কষ্ট পাবে এবং তাকে মিস করবে। এই গবেষণার ফলাফল নিশ্চিত করেছে, প্রেমে পড়ার পর মানুষ ছোট নেটওয়ার্কের ভেতরে চলে আসতে চায় এবং এর প্রেক্ষাপটে তাদের দু’জন ঘনিষ্ঠ বন্ধু হারাতে হয়।
প্রফেসর রবিন ডানবার জানিয়েছেন, বন্ধুদের ওপর নতুন প্রেমের সম্পর্ক কতটা প্রভাব ফেলবে, তা অবশ্য প্রেমের গভীরতার ওপরও অনেকখানি নির্ভরশীল। প্রেম গভীর হলে বন্ধুদের সঙ্গে সাক্ষাতের পরিমাণও কমে যায়। এর কারণ হিসেবে তিনি মনে করেন, প্রেমে পড়ার পর মনোযোগ এককভাবে ভালোবাসার মানুষের দিকে এমনভাবে সরে যায়, অন্যদের জন্যও তার যে কিছু করার রয়েছে, বিষয়টি স্মরণ থাকে না। ফলে ক্রমেই সম্পর্কটি এক সময়ে ঝরে যায়।
আঠার কিংবা তার চেয়ে বেশি বয়সী ৫৪০ জনের ওপর এ গবেষণাটি চালানো হয়। গবেষণার ফলাফলটি সম্প্রতি অ্যাস্টন ইউনিভার্সিটির ব্রিটিশ সায়েন্স ফেস্টিভালে উপস্থাপন করা হয়। এটি আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে জমা দেয়া হয়েছে।

 

ছোট বেলার গল্প ও বাস্তবতা

ছোট বেলায় একটা গল্প শুনেছিলাম।প্লেনে করে তিন ভদ্রলোক যাচ্ছিলেন তার মধ্যে একজন বাংলাদেশীও ছিলেন।তারা তাদের বিভিন্ন জিনিস ব্যবহারের পর তা প্লেন হতে ফেলে দিচ্ছিলেন কারন ওইসব জিনিস তাদের দেশে প্রচুর পরিমানে পাওয়া যায়।বাংলাদেশী ভাবলেন তাদের দেশের কি বেশি পাওয়া যায়? চিন্তা করে তিনি বাকি দুজনকে প্লেন থেকে ফেলে দিয়ে বললেন, মানুষ আমাদের দেশে অনেক পাওয়া যায়।
বর্তমানে এই গল্পের সাথে অনেক মিল বাস্তবে দেখা যাচ্ছে…।প্রকৃতি মাঝে মাঝেই অনেক জীবন কেড়ে নিচ্ছে।তবে প্রকৃতির চাইতে মানুষেরাই তাদের অতিরিক্ত সম্পদ কমাতে ব্যস্ত হয়ে পড়ছে।
এই জনসংখ্যার বৃদ্ধি যাতে আপাত দৃষ্টিতে দেখা না যায় এজন্য একটি ভাল উপায় বের করা হয়েছে ,তা হল যাদের পছন্দ না হয় তাদেরকে একটি নির্দিষ্ট স্থানে আটকে রাখা যাকে বলা হয় “জেল হাজত”। এতে আবার ‘রিমান্ড’ নামে একটি অতি কার্যকরী ওষুধ রয়েছে। এর প্রয়োগের মাধ্যমে মানুষের জীবনীশক্তি সহজেই হ্রাস করা যায়।যারা এই ওষুধ প্রয়োগ করার লিমিটের বাইরে চলে যাচ্ছে তাদের জন্য রয়েছে ভিন্ন ব্যবস্থা।তাদের জন্য গাল ভরা নামের কিছু ওষুধ তৈরী করা হয়েছে।‘ক্রসফায়ার’, ‘বন্দুকযুদ্ধ’ ‘এনকাউন্টার’ ইত্যাদি।
বড়দের দেখা দেখি ছোটরা শিখে ।।এর প্রকৃ্ষ্ট উদাহারন ও আমাদের দেশে আছে।জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রনে তারা চাপাতি, রানদা, হকিস্টিক ইত্যাদি পুরানো অস্ত্র থেকে শুরু করে বন্দুক, বোমার মত আধুনিক অস্ত্র ব্যবহার করছে। তবে একটি বিষয়ে তাদের নতুন আবিষ্কারে বিস্মিত, হতভম্বিত না হয়ে পারি না। তারা ছাঁদ থেকে অন্যদের ফেলে দিচ্ছে !!! সহজ উপায় ,কোন অস্ত্র লাগলো না…।তাই অস্ত্র বিষয়ক মামলাও হল না !!! বড়দের স্নেহভাজন হিসাবে এতটুকু দাবি তো অবশ্যি করা যায়!!
দেশের মানুষই যখন এই সব ব্যবস্থা নিচ্ছে তখন প্রতিবেশী চুপচাপ বশে থাকবে কেন? তারাও প্রায় প্রতিদিন দু একজন করে জনসংখ্যা কমিয়ে তাদের বন্ধুত্বের পরিচয় দিচ্ছে।

১২ সেপ্টেম্বর ২০১০ সালে লেখা ব্লগ। 

 

Share

Twitter Delicious Facebook Digg Stumbleupon Favorites