বৃহস্পতিবার, ৪ অক্টোবর, ২০১৮

ছোট বেলার গল্প ও বাস্তবতা

ছোট বেলায় একটা গল্প শুনেছিলাম।প্লেনে করে তিন ভদ্রলোক যাচ্ছিলেন তার মধ্যে একজন বাংলাদেশীও ছিলেন।তারা তাদের বিভিন্ন জিনিস ব্যবহারের পর তা প্লেন হতে ফেলে দিচ্ছিলেন কারন ওইসব জিনিস তাদের দেশে প্রচুর পরিমানে পাওয়া যায়।বাংলাদেশী ভাবলেন তাদের দেশের কি বেশি পাওয়া যায়? চিন্তা করে তিনি বাকি দুজনকে প্লেন থেকে ফেলে দিয়ে বললেন, মানুষ আমাদের দেশে অনেক পাওয়া যায়।
বর্তমানে এই গল্পের সাথে অনেক মিল বাস্তবে দেখা যাচ্ছে…।প্রকৃতি মাঝে মাঝেই অনেক জীবন কেড়ে নিচ্ছে।তবে প্রকৃতির চাইতে মানুষেরাই তাদের অতিরিক্ত সম্পদ কমাতে ব্যস্ত হয়ে পড়ছে।
এই জনসংখ্যার বৃদ্ধি যাতে আপাত দৃষ্টিতে দেখা না যায় এজন্য একটি ভাল উপায় বের করা হয়েছে ,তা হল যাদের পছন্দ না হয় তাদেরকে একটি নির্দিষ্ট স্থানে আটকে রাখা যাকে বলা হয় “জেল হাজত”। এতে আবার ‘রিমান্ড’ নামে একটি অতি কার্যকরী ওষুধ রয়েছে। এর প্রয়োগের মাধ্যমে মানুষের জীবনীশক্তি সহজেই হ্রাস করা যায়।যারা এই ওষুধ প্রয়োগ করার লিমিটের বাইরে চলে যাচ্ছে তাদের জন্য রয়েছে ভিন্ন ব্যবস্থা।তাদের জন্য গাল ভরা নামের কিছু ওষুধ তৈরী করা হয়েছে।‘ক্রসফায়ার’, ‘বন্দুকযুদ্ধ’ ‘এনকাউন্টার’ ইত্যাদি।
বড়দের দেখা দেখি ছোটরা শিখে ।।এর প্রকৃ্ষ্ট উদাহারন ও আমাদের দেশে আছে।জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রনে তারা চাপাতি, রানদা, হকিস্টিক ইত্যাদি পুরানো অস্ত্র থেকে শুরু করে বন্দুক, বোমার মত আধুনিক অস্ত্র ব্যবহার করছে। তবে একটি বিষয়ে তাদের নতুন আবিষ্কারে বিস্মিত, হতভম্বিত না হয়ে পারি না। তারা ছাঁদ থেকে অন্যদের ফেলে দিচ্ছে !!! সহজ উপায় ,কোন অস্ত্র লাগলো না…।তাই অস্ত্র বিষয়ক মামলাও হল না !!! বড়দের স্নেহভাজন হিসাবে এতটুকু দাবি তো অবশ্যি করা যায়!!
দেশের মানুষই যখন এই সব ব্যবস্থা নিচ্ছে তখন প্রতিবেশী চুপচাপ বশে থাকবে কেন? তারাও প্রায় প্রতিদিন দু একজন করে জনসংখ্যা কমিয়ে তাদের বন্ধুত্বের পরিচয় দিচ্ছে।

১২ সেপ্টেম্বর ২০১০ সালে লেখা ব্লগ। 

 

0 মন্তব্য:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Share

Twitter Delicious Facebook Digg Stumbleupon Favorites