একটা কমন কথা, 'ফরজের খবর নাই, নফল নিয়ে টানাটানি!'
শবে বরাত কোরআন - হাদীস দ্বারা প্রমাণিত নয়। অল্প আমলে বেশি নেকি লোভী আর অল্প আমলে বেশী নেকির সুসংবাদ প্রদানকারী পীরদের সৃষ্ট একটি বিদআত এটি। আর আমরা যেহেতু কম কষ্ট করে কোটি কোটি নেকি পেতে চাই সেহেতু আমরা এটিকে খুব সাদরে গ্রহণ করে নিই।
আয়েশা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুল (সঃ)
বলেছেনঃ "যে ব্যাক্তি আমার এই দ্বীনে (নিজের পক্ষ থেকে) কোন নতুন কথা উদ্ভাবন করল, তা প্রত্যাখ্যানযোগ্য।" [বুখারী; মুসলিম]
জাবের (রাঃ) হতে বর্ণিত। রাসুল (সঃ) বলেছেন "নিঃসন্দেহে সর্বোত্তম কথা আল্লাহর কিতাব এবং সর্বোত্তম রীতি মুহাম্মাদ (সঃ)- এর রীতি। আর নিকৃষ্টতম কাজ (দ্বীনে) নব আবিষ্কৃত কর্মসমূহ এবং প্রত্যেক বিদ’আত ভ্রষ্টতা’।"
[মুসলিম; নাসায়ী; আবু দাউদ; ইবনে মাযাহ; আহমাদ]
হাদীস গুলো বাদ দিলাম। আল্লাহ কি বলেছেন দেখুন।
"আমি কিতাবে কোন কিছু লিপিবদ্ধ করতে ত্রুটি করিনি।" [আনআম ৩৮]
যেহেতু আল্লাহ নিজেই বলেছেন তিনি কোন কিছু লিপিবদ্ধ করতে ক্রুটি করেননি, সুতরাং শবে বরাত বলে কিছু থাকলে কথিত ফযিলত পূর্ণ রাত সম্পর্কে আল্লাহ একটি আয়াত হলেও উল্যেখ করতেন অথবা হাদীসের বর্ণনা পাওয়া যেত। আল্লাহ মানুষকে সরলপথ দেখিয়ে বলেছেন,
"নিশ্চয়ই এটি আমার সরল পথ। সুতরাং এরই অনুসরন করো এবং ভিন্ন পথ অনুসরন করো না, করলে তা তোমাদেরকে তাঁর পথ থেকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলবে।" [আনআম ১৫৩]
সুতরাং এ পরিস্থিতিতে আমরা কি করবো সে কথা কোরআনে আল্লাহ বলে দিয়েছেন,
"আর যদি কোন বিষয়ে তোমাদের মধ্যে মতভেদ ঘটে, তাহলে সে বিষয়কে আল্লাহ্ ও তাঁর রাসুলের দিকে ফিরিয়ে দাও।" [নিসা ৫৯]
অন্য এক আয়াতে আল্লাহ বলেনঃ
"বল, তোমরা যদি আল্লাহকে ভালবাসতে চাও, তাহলে আমার অনুসরণ করো। ফলে আল্লাহ্ তোমাদেরকে ভালবাসবেন এবং তোমাদের অপরাধসমুহ ক্ষমা করে দিবেন।" [আলে ইমরান ৩১]
আসুন, দ্বীনে নতুন আনিত বিদআত সমূহ থেকে আমরা বিরত থাকি, সত্য দ্বীনের উপরে অটল থাকি। আল্লাহ আমাদের সকলকে সহীহ্ বুঝ দানের তৌফিক দিক, তার প্রিয় বান্দাদের দলভূক্ত করুক, আমিন।
0 মন্তব্য:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন